আমাদের দুই বোনের কোনোদিনই দেশের বাড়ি বলে কিছু নেই।
বিয়ে হলো, শশুরবাড়ি এসে বুঝলাম দেশের বাড়ি যাওয়ার মজা কি। নিজের বাড়ি, নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার যেই মজা, সেটা হয়তো আমার এই তিরিশ বছরের জীবনে হলো না।
যখন ছোট ছিলাম স্কুলে সবাই absent letter আনতো, অজুহাত কি না native place যাবে। বাড়ি এসে মা কে জিগেশ করতাম, "মা native place কি গো?" মা উত্তর দিতো একদম সোজা বাংলা-এ native place মানে দেশের বাড়ি। আমার স্বতঃস্ফূর্ত জিগ্যাস , "আমাদের দেশের বাড়ি কোথায় মা?"মা বলতো "আমাদের দেশের বাড়ি বাংলাদেশে , সে এক অন্য দেশ। " তারপর থেকে শুধু কত গুলো টুকরো গল্প শুনে আসি আমার দেশের বাড়ি নিয়ে। মা, বাবা, দাদা, ঠাকুমা, দিদা, পিসিরা শুধু কতগুলো গল্প দিয়েই আমার দেশের বাড়ি সাজিয়ে তুলেছে।
গল্প গুলো বলার আগে একটু ইতিহাস তা ঘেটে নি কি করে আমার মা বাবা India তে চলে আসে। মা নাকি মাত্র তিন বছর বয়েসে পারি দেয় আমাদের এই India তে।
মায়ের নাকি সেরকম কোনো স্মৃতি নেই ওই দেশের, শুধু মনে আছে একটা বড় বাড়ি ঢাকা শহরের মাঝখানে, এখন নাকি সেই বাড়ি একটা মেয়েদের স্কুল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বাবা কিন্তু ভোলে নি তার দেশ। এখনো বাবা কে নিজের দেশের সম্বন্ধে কিছু বলতে গেলে বাবা বসে যায় তার অসংখ্য এবংঅবদ্য সব গল্প নিয়ে।
নানান ধরণের সেই সব গল্প। এইসব গল্প গুলো তো শুধু দেশের বাড়ির না, তার সাথে জড়িয়ে থাকা অনেক কিছু নিয়ে। কখনো ভূত- পেত্নী, কখনো খাওয়া - দাওয়ার পরিপাটি , কখনো বা শুধুই বাড়ি, পরিবার আর সেই গ্রামের গল্প।
এই ছোট গল্পের টুকরো দিয়েই আমার পরবর্তী বিভাগ লিখবো। কখনো লেখা হয়ে ওঠেনি এতো কিছু, আজকে মন চেয়েছে মনের জমে থাকা কতগুলো কথা দিয়ে এক অতি সামান্য কিছু লিখি। লিখবো যাতে আমার শোনা দেশের বাড়ির গল্প গুলো যেন কোথাও হারিয়ে না যায়।
সোনার
বিয়ে হলো, শশুরবাড়ি এসে বুঝলাম দেশের বাড়ি যাওয়ার মজা কি। নিজের বাড়ি, নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার যেই মজা, সেটা হয়তো আমার এই তিরিশ বছরের জীবনে হলো না।
যখন ছোট ছিলাম স্কুলে সবাই absent letter আনতো, অজুহাত কি না native place যাবে। বাড়ি এসে মা কে জিগেশ করতাম, "মা native place কি গো?" মা উত্তর দিতো একদম সোজা বাংলা-এ native place মানে দেশের বাড়ি। আমার স্বতঃস্ফূর্ত জিগ্যাস , "আমাদের দেশের বাড়ি কোথায় মা?"মা বলতো "আমাদের দেশের বাড়ি বাংলাদেশে , সে এক অন্য দেশ। " তারপর থেকে শুধু কত গুলো টুকরো গল্প শুনে আসি আমার দেশের বাড়ি নিয়ে। মা, বাবা, দাদা, ঠাকুমা, দিদা, পিসিরা শুধু কতগুলো গল্প দিয়েই আমার দেশের বাড়ি সাজিয়ে তুলেছে।
গল্প গুলো বলার আগে একটু ইতিহাস তা ঘেটে নি কি করে আমার মা বাবা India তে চলে আসে। মা নাকি মাত্র তিন বছর বয়েসে পারি দেয় আমাদের এই India তে।
মায়ের নাকি সেরকম কোনো স্মৃতি নেই ওই দেশের, শুধু মনে আছে একটা বড় বাড়ি ঢাকা শহরের মাঝখানে, এখন নাকি সেই বাড়ি একটা মেয়েদের স্কুল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বাবা কিন্তু ভোলে নি তার দেশ। এখনো বাবা কে নিজের দেশের সম্বন্ধে কিছু বলতে গেলে বাবা বসে যায় তার অসংখ্য এবংঅবদ্য সব গল্প নিয়ে।
নানান ধরণের সেই সব গল্প। এইসব গল্প গুলো তো শুধু দেশের বাড়ির না, তার সাথে জড়িয়ে থাকা অনেক কিছু নিয়ে। কখনো ভূত- পেত্নী, কখনো খাওয়া - দাওয়ার পরিপাটি , কখনো বা শুধুই বাড়ি, পরিবার আর সেই গ্রামের গল্প।
এই ছোট গল্পের টুকরো দিয়েই আমার পরবর্তী বিভাগ লিখবো। কখনো লেখা হয়ে ওঠেনি এতো কিছু, আজকে মন চেয়েছে মনের জমে থাকা কতগুলো কথা দিয়ে এক অতি সামান্য কিছু লিখি। লিখবো যাতে আমার শোনা দেশের বাড়ির গল্প গুলো যেন কোথাও হারিয়ে না যায়।
সোনার